Mission

যে কারণে এই কলেজের প্রতিষ্ঠা :
    ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের মাধ্যমে দেশে ক্যাডেট কলেজীয় শিক্ষা পদ্ধতির ধারণা বিকাশ লাভ করতে থাকে।

  •    এ যাবৎ প্রতিষ্ঠিত ও বিরাজমান ১২টি সরকারি ক্যাডেট কলেজ  এ দেশের ১৫ কোটি মানুষের চাহিদা মিটাতে সক্ষম নয়। এমতাবস্থায় বেসরকারী উদ্যোক্তাগণ এগিয়ে না এলে এ ধরণের উচ্চমানের শিক্ষা থেকে অনেক আগ্রহী শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছে। এ কারণেই আমরা বেসরকারীভাবে গাজীপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি, যার পরিবর্তিত নাম গাজীপুর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।
  • ৫ম শ্রেণির পাঠ সমাপনের পর কিন্ডারগার্টেন বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বেরিয়ে আসে। কোথায় ভর্তি করবেন এ নিয়ে অভিভাবকগণ চিন্তিত থাকেন। এ সময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে গাজীপুর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
  • তারুণ্যদীপ্ত শিক্ষার্থীরা বিরাজমান ক্যাডেট কলেজগুলোতে দুনিয়ার জীবন পরিচালনার সার্বিক শিক্ষা পেলেও পরকালীন মঙ্গলের শিক্ষা পায় না। পরকালের সুখ-শান্তি নিশ্চিত করার জন্য দুনিয়ার করণীয় কাজের সিলেবাসের খবর রাখে না। শিক্ষার এই অসম্পূর্ণতাকে পূর্ণতা দান করার জন্যে গাজীপুর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ একটি কিশোরকে  সেই সিলেবাস উপহার দেবে যাতে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়া প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ধর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পরিচালিত ।  

    কলেজের অবস্থান :
 গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ১৮ মাইল উত্তরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট মোড় চৌরাস্তা থেকে ৩০০ গজ উত্তরে গিয়ে পশ্চিম দিকের গজারী বনের ভেতর দিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে এক শান্ত সমাহিত গ্রামীণ পরিবেশে পাকা সড়ক সংলগ্ন প্রায় ৫০ বিঘা উঁচু ভূমিতে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী ক্যাডেট কলেজটি অবস্থিত, যার পরিবর্তিত নাম গাজীপুর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। চারপাশের অফুরন্ত কূল, কাঁঠাল, আম,  সেগুন, মেহগনি, আগর  বনের সবুজের সমারোহ ও গ্রামীন নির্জনতায় ১৫টি  ভবন ১টি শাপলা পুকুর ও ৬টি খেলার মাঠ নিয়ে যাত্রা শুরু করা কলেজটিকে দান করেছে ধ্যানগম্ভীর মগ্নতা। নিরবচ্ছিন্ন জ্ঞান সাধনার জন্য এ রকম পরিবেশই একান্ত অনুকূল।

    কলেজের বৈশিষ্ট্য :
    * প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত

    * ভিন্ন ভিন্ন খেলার মাঠ  

    * পড়াশুনার এক ঘেয়েমি দূর করতে সুস্থ বিনোদন  

    * সাঁতার শেখার সুইমিং পুল 

    * ক্লাস ভিত্তিক ছাত্রদের ভিন্ন ভিন্ন আবাসিক সুবিধা   

    * ২৪ ঘন্টা মেডিকেল সার্ভিস এর ব্যবস্থা  

    * হাতে কলমে কম্পিউটার শিক্ষা   

    * বিষয় ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান    

    * মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষ আলেম দ্বারা ধর্মীয় শিক্ষা এবং ৫ ওয়াক্ত জামাতে নামায   পড়া 

    *একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও মানবিক গুনাবলী বৃদ্ধির জন্য কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা  

    * বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে পৃথক পাঠদান  

    * অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দ্বারা সরকারি ক্যাডেটের অনুরূপ পিটি ও প্যারেড  

    * সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান [ বাংলা ও ইংরেজি বির্তক প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃতি, নাটক ও উপস্থিত বক্তৃতা, আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। ]